দেবী ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি: হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভারতকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পাকিস্তান। এই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই খারাপ। তৎসত্ত্বেও ভারতের বিষয়ে পাকিস্তানের উৎসাহ চিরকালই একটু বেশি। এবার হিজাব বিতর্ক নিয়ে পাকিস্তানের খোঁচার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত।
সম্প্রতি, ইসলামাবাদ-স্থিত ভারতীয় দূতাবাসের এক কূটনীতিবিদকে ডেকে পাঠায় পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে ভারতীয় মুসলিম ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অভিসন্ধিতে রীতিমত ব্রেক লাগিয়ে তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিবিদ সুরেশ কুমার। তিনি পাকিস্তানের সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করে দিয়ে বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং সর্বতভাবে বিচার করার পরেই ভারত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসঙ্গে, পাকিস্তানকে অন্যের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার আগে নিজেদের কার্যকলাপ গুলো ক্ষতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
বলাবাহুল্য, পূর্বে ভারতের হিজাব বিবাদকে ধর্মীয় রং লাগিয়ে এদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পাকিস্তান। সেইসঙ্গে, এদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি অসহিশ্নুতা প্রকাশ পাচ্ছে বলে ভারতকে খোঁচাও দেওয়া হয়। পাকিস্তান বলে, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রীদের যারা উৎপীড়ন করছে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মহিলাদের সুরক্ষা প্রদান কড়া উচিৎ। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ভারতের মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই অভিযোগের উত্তরে ভারতীয় কূটনীতিবিদ বলেন, আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ দেশে আইন-কানুনের প্রক্রিয়া আছে। আর ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে পাকিস্তান নিজেদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখুক। অন্যদিকে, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে বিচারভার বর্তমানে কর্ণাটক আদালতের উপর রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে বিষয়টির ফয়সালা হওয়া পর্যন্ত বিদ্যার্থীদের কোনোরকম ধর্মীয় পোশাকে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।