কলকাতার টাইমস 24 : কালীঘাটের হাইভোল্টেজ বৈঠকে তৈরি হল জাতীয় কর্মসমিতি। জাতীয় কর্ম সমিতিতে রয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে ২০ জন সদস্য। কর্মসমিতির সদস্যরা হলেন অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুলুচিক বারিক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দু শেখর রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র, মলয় ঘটক, রাজীব ত্রিপাঠি, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও পদাধিকারীর নাম এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী সময়ে দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করবেন, পদাধিকারীদের নাম। শনিবারের বৈঠকে এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে যে বিষয়গুলির দিকে সবার নজর ছিল, মূলত এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরে বিভাজন কিংবা আইপ্যাক সংক্রান্ত ইস্যু – সেই সব নিয়ে কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে চাননি তৃণমূলের কেউই।
তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষিত তালিকায় নাম নেই মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাসের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধি রয়েছেন এই তালিকায়। ভিন রাজ্যের নামী নেতাদের অবশ্য দলের কর্মসমিতিতে এখনও জায়গা দেওয়া হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দলের পদাধিকারীদের নাম আজকের বৈঠকে ঠিক করা হয়নি। যার অর্থ আপাতত তৃণমূলের শীর্ষস্তরের সব পদ অবলুপ্ত। এতদিন যারা পদাধিকারী ছিলেন তাঁরা আর কোনও পদে থাকলেন না। পরবর্তীকালে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে দলের মহাসচিব পর্যন্ত সব পদাধিকারীদের নাম জানাবেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনকেও। বৈঠক শেষে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অভ্যন্তরের কলহের কথা অস্বীকার করে জানান, দলের কর্মসমিতি নির্ধারণ করা ছাড়া, আর কোনও বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়নি।