Kolkata Times 24 : বিভিন্ন দফতরের কাজ শুরু হয়েও পড়ে আছে দীর্ঘদিন। একে বারে তার তালিকা তৈরি করে নিয়ে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে রিতিমত ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘আপনারা ওয়ার্ক অন প্রগ্রেস বললেই আমি মেনে নেব, সার্ভে করব না, এমনটা নয়। আমি কিন্তু সব নজরে রাখব। এগুলোর আগে কাজ শেষ করুন।’
মুকুটমণিপুরে কালচালার ভবন কেন হয়নি, এই প্রশ্নে জেলাশাসক বলেন, কাজ চারদিন আগে শুরু হয়েছে। তারপর জেলা পরিষদের তরফ থেকে বলা হয়, জমির সমস্যা রয়েছে। মমতা পাল্টা বলে ওঠেন, ‘তোমাদের সব কিছুতেই জমির সমস্যা, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। মমতা আলাদা করে বলেন, মোট ৩৪টি প্রকল্পের তালিকা দেওয়া রইল জেলাশাসকের কাছে। পাশাপাশি, তিনি বলেন দয়া করে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির হাতে কাজ দেবেন না। আপনারা দফতর থেকে কাজ করুন, ওরা টেন্ডার করতে দেরি করে। ওরা নিজেদের লোকদের ছাড়া টেন্ডার দেয় না। ওদের হাতে কাজ দেবেন না। ওদের ইঞ্জিনিয়ার কম, ওদের লোক সংখ্যা কম, ওদের হাতে কাজ দেবেন না।’
সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে কার্যত নিজেই প্রশ্ন তুলে দেন মমতা। সর্ব স্তরে কাজ সঙ্গে সঙ্গে শেষ করা নির্দেশ দেন তিনি। ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, রায়পুর ব্লকের কথা বলেই এই প্রকল্পের বিষয়টি শুরু করেন মমতা। ২১ কোটি টাকার প্রজেক্ট, আট বছর ধরে পড়ে আছে। উত্তরে জেলাশাসক বলেন, ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে আছে। সেই কথার উত্তরে পাল্টা মমতা বলেন, না না, ৮৫ শতাংশ ওসব শুনবো না। এ তো কানমলা খাওয়া উচিত সবার কাছে, যে দফতর এগুলো করছে। দায়িত্ব নিযে এগুলো করছে। এগুলো দফতরগুলিকে বলা যায় না যে এগুলো এতদিন ধরে পড়ে আছে। এর পরেই একের পর এক প্রকল্পের তালিকা ধরে বলতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সব কটিই ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে, একটি-দুটি চার বছর ধরে পড়ে থাকা প্রকল্পও আছে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মমতা বলেন, এখনও যা কাজ করার করে নিন, তাড়াতাড়ি টেন্ডার ছেড়ে কাজটা শেষ করুন। এর পর বর্ষাকালে কাজ করতে পারবেন না, তার পর পঞ্চায়েত নির্বাচন চলে আসবে।