কলকাতা টাইমস 24 : ট্রাফিক আইনে যথেষ্ট কড়াকড়ি এনেছে সরকার এবং সেই সঙ্গে আইন উলঙ্ঘনে থাকছে মোটা জরিমানাও। তবুও ব্যাপক হারে সচেতনতা বাড়ছে কই! অর্থাত বজ্র আঁটুনির পরেও ফস্কা গেরো রয়েই গেছে। লালবাজার সূত্রে জানা যায় প্রায় ১৯৪ কোটি মূল্যের জরিমানা এখনো অনাদায় অবস্থহায় আছে। গত ছয় বছরে কলকাতা পুলিশ যে পরিমাণ জরিমানা ধার্য করেছে গাড়ি চালকদের উপর; তার ৪১% এখনো আদায় করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে এটাও উল্লেখ করা দরকার যে জরিমানা আদায়ের কোনো কড়া ব্যাবস্থা না থাকার ফলে গাড়ি চালকরাও নিয়ম মেনে চলার কোনো দায়ভার বহন করেনা। সম্প্রতি ধর্মতলায় একটি মিনিবাস প্রায় ২৭ জন যাত্রীকে আহত করে। আর এই বাসটির ওপরেই গত বারো বছর ধরে অন্তত ২০৩ টি ট্রাফিক কেস অনাদায়ী রযেছে। তবে দেরিতে হলেও এবার বকেয়া জরিমানা উদ্ধারে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ প্রশাসন। লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার জন্য জেনারেল ডাইরি করতে এলেই তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে তার রেকর্ড। জরিমানা বকেয়া থাকলে আগে সেটি মেটানোর শর্ত দেওয়া হচ্ছে। পুলিশেরই একাংশের মতে যদি গাড়ির কাগজপত্র পুনর্ণবিকরণের সময় বকেয়া পরিশোধের শর্ত লাগু করা হয়; তাহলেই একমাত্র এর সমাধান সম্ভব। এমনকি, ডেপুটি কমিশনারের দপ্তর থেকে পরিবহণ মন্ত্রকে একটি আবেদন-ও করা হয়েছে যাতে পুলিশের থেকে NOC না পেলে কোনোরকম ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, পারমিট, লাইসেন্স বা ওনারশিপ ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পাওয়া যাবেনা। যদিও এই ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তর থেকে এখনো অব্দি কোনো মতামত দেওয়া হয়নি। নিয়মানুযায়ী, যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া জরিমানা দেওয়া না হয়; তাহলে বিষয়টি আদালতের অধীনে চলে যায়। কিন্তু তাতেও কোনো। সুফল পাওয়া যায়নি। সবকটি কেস ঠিকমতো নথিভুক্ত পর্যন্ত হয়না। উল্লিখিত ওই বাসটির বিরুদ্ধে যেখানে ২০৩ টি কেস রয়েছে; সেখানে মাত্র ৬ টি কেসের নথিভুক্তিকরণ হয়েছে। অর্থাত গাফিলতি রয়েছে সব পক্ষেই। আদালতের আওতাভুক্ত কেসগুলির যেমন কোনো নিষ্পত্তি এখনো হয়নি; তেমনই নথিভুক্তিকরণেও রয়েছে গলদ। আর মাঝখান থেকে গাড়িচালকরা আইন অমান্য আন্দোলনে সফলতার দিকে এগিয়ে চলেছে।
ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাগাতার জারি আইন অমান্য আন্দোলন
প্রকাশ: