কলকাতা টাইমস 24 : ডিসেম্বরের শেষে রাতের ঘুম ছুটিয়ে কুলতলিতে হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণরায়। কুলতলির জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়িয়ে অবশেষে দুটি ঘুমপাড়ানির গুলিতে কাবু হয়ে ধরা দেন তিনি। সেই ঘটনার ঠিক দুমাস বাদে ফের কুলতলিতে চলে আসেন সুন্দরবনের রাজা দক্ষিনরায়। বুধবার সকালে কুলতলি থানার দেবীপুর দেউলবাড়ি এলাকায় গ্রামবাসীরা বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পান। তারপরেই ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোন বন দফতরের কর্মীরা। দক্ষিণরায়ের দেখা না মিললেও পায়ের ছাপ ধরে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বন কর্মীরা। বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় যাতে কোনওরকম আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সেই কারণে ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশও। বুধবার ওই এলাকায় হাজির হন বনদপ্তরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী। তার নির্দেশেই ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা ও গোটা এলাকা নাইলন-স্টিলের জাল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। মোষের মাংসও দেওয়া হয় টোপ হিসেবে। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর ৩ টে নাগাদ সেই টোপের লোভেই বন দফতরের পাতা ফাঁদে প্রবেশ করেন দক্ষিণরায়। কিন্তু খাঁচায় ঢুকেই তর্জন গর্জন শুরু করে সেই বাঘটি। এরপরই খাঁচা-সহ বাঘটিকে বোটে চাপিয়ে সুন্দরবনের বনি ক্যাম্পের দিকে রওনা দেন বনকর্মীরা। বন কর্মীদের অনুমান, সুন্দরবনের আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকে বাঘটি কোনওভাবে বেরিয়ে চলে এসেছিল পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলিকাটা এলাকার দিকে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ধরা পড়া ওই বাঘের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন পশু চিকিৎসকরা। তারপর বনদফতরের শীর্ষকর্তাদের নির্দেশ মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রকাশ: