Kolkata Times 24 : মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে নিজেকে এলাকায় পরিচয় দিতেন অতনু গুছাইত। সেই পরিচয় দিয়েই চাকরি দেওয়ার নাম করে দিনের পর দিন টাকা তুলেছেন বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে। লক্ষ লক্ষ টাকা এইভাবে হাতিয়ে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অতনু গুছাইত ও তার ভাই শান্তনু গুছাইত এখন পলাতক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা।
এসএসসি, গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, প্রাথমিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা সাধারণ যুবক-যুবতী এমনকি দলের কর্মীদের কাছ থেকেও তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর এলাকার কয়েকজন অতনুর হাত ধরে চাকরি পেয়েছিলেন। এতেই মানুষের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। জমি, জায়গা, সর্বস্ব বিক্রি করে তাঁরা অতনু ও তার ভাইয়ের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাসের-পর-মাস কেটে গেলেও আর কেউ চাকরি পায়নি। তখন ভুল ভাঙে, তবে ততদিনে উড়ে গেছে পাখি।
অতনু গুছাইত ২০০৩ সালে কোলা ১ পঞ্চায়েত সদস্য ও ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুত্ কর্মাধক্ষ হয়েছিলেন। কোলাতে তার বিশাল বাড়িও রয়েছে। তবে সেসব এখন তালাবন্ধ। এক কর্মপ্রার্থী বলেন, অতনু গুছাইত আমার কাছ থেকেও বাড়িতে এসে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলে। জানা গিয়েছে যারা টাকা দিতে পারত না তাদের কাছ থেকে সোনা নিত।
বিপুর প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, অতনু বলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওর যোগাযোগ আছে। প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু টাকাও ফেরত্ দিল না, চাকরিও হল না। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওর সঙ্গে আমাদের এখন কোন যোগাযোগ নেই।
জানা গিয়েছে, অনেকেই জমি বাড়ি, সোনা বিক্রি করে, বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছিলেন।