

কলকাতা: আসন্ন নির্বাচনে তব কি মমতা বনাম শুভেন্দুর মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে? সোমবার এমনই ইঙ্গিত মিলল। কারণ একদিকে তৃণমূলের ভারকেন্দ্র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেখানে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে “পঞ্চাশ হাজার ভোটে মাননীয়াকে হারাবই” বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতিতে। একের অপরকে বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে রাজি নন। তা স্পষ্ট আজকের দ্বৈরথ থেকে।
প্রসঙ্গত সোমবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন। বেকারত্ব-সহ রাজ্যবাসীর যাবতীয় সমস্যার জন্য দায়ী করলেন রাজ্য সরকারকে। এদিন টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারি পর্যন্ত বিজেপির মিছিলে করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সেখান থেকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “তৃণমূল একটা কোম্পানি। ওঁরা কোনও সভা থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতেই পারে। কিন্তু বিজেপি ওভাবে কিছু করবে না। তবে মাননীয়াকে নন্দীগ্রামে কম করে ৫০ হাজার ভোটে হারাব। নাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
তৃণমূল সুপ্রিমো ও পিকেকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, “মাননীয়ার এতই বুদ্ধি যে ২৯৪টি আসনের প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন এমন অবস্থা বিহার থেকে এক সংস্থাকে নিয়ে এসে তার থেকে বুদ্ধি ধার করতে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে ঠেকানো যাবে না বিজেপিকে। ”
এদিন বিজেপির মিছিলে হামলা প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। বলেন, “আজকে পারমিশন নিয়ে মিছিল করা হয়েছে। সেখানেও দুষ্কৃতীরা ইটবৃষ্টি করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। পুলিশ আগে দলদাস ছিল। এখন ভাইপোর কৃতদাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। পদ্ম ফুটবেই।”