

কলকাতা: ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে বড় পরীক্ষা বামেদের। আসন্ন নির্বাচনে শক্তি প্রদর্শনের বড় সুযোগও বলা যেতে পারে। যদিও বাম-কংগ্রেস জোটের সমাবেশে সিংহভাগ জুড়ে থাকবে বামেরাই। তবে ব্রিগেড ভরাতে ৭ লক্ষ সমর্থকদের হাজির করাতে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বামেরা। আর অধীরবাবু ও আব্বাস সিদ্দিকীকে হাজির করাতে পারলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। উপচে পড়বে জমায়েত। বিশেষ অতিথি তালিকায় রয়েছেন, রাহুল গান্ধী থেকে কানহাইয়া কুমার। বক্তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে যুব নেতা কানহাইয়া কুমার। কিন্তু সেই কানহাইয়া কুমারের বক্তৃতা শোনা থেকেই বঞ্চিত থাকবেন নাতো বাম সমর্থকেরা?
শোনা যাচ্ছে আলিমুদ্দিন থেকে এখনও আমন্ত্রণ পত্রও পৌঁছায়নি কানহাইয়ার কাছে। আর এখন থেকেই ব্রিগেডে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য দেশজুড়ে কানহাইয়ার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। লক্ষ লক্ষ বাম সমর্থকেরা যে তারই ঝাঁঝালো বক্তৃতা শুনতে আসবেন তাই নিয়েও ওয়াকিবহাল সুজনরা। কিন্তু এবার সেই কানহাইয়াই যদি ব্রিগেড সমাবেশে না আসেন তাহলে হতাশ হবেন বাম যুব সমর্থকেরা।
গতবছর বামেদের ব্রিগেড সভার মূল আকর্ষণ ছিলেন কানহাইয়া কুমার। বক্তার তালিকায় তাঁর নাম ছিল সবার ওপরে। কানহাইয়ার বক্তব্য শোনার জন্য লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেছিলেন ব্রিগেডের মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভায় উপস্থিত হননি কানহাইয়া। জানানো হয়েছিল, ঘাড়ে চোট লাগার কারণে কলকাতায় আসতে পারছেন না তিনি। এই খবর ব্রিগেডের ভরা সভায় ঘোষিত হওার পরে হতাশ হয়ে পড়ে লাখো ছাত্র যুব।
শোনা যাচ্ছে, এ বছরের জনসভাতেও মঞ্চে দেখা যাবে না কানহাইয়াকে। কারণ এবার তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন কানহাইয়া কুমার। পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট অথবা তাঁর নিজের দল সিপিআই এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি তাঁকে। এমনকি আগামি মার্চ মাসেও তাঁকে দেখা যাবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। কানহাইয়ার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী একমাস তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং হায়দরাবাদে। সিপিআই নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, সিপিআইএমের তরফে কানহাইয়াকে ব্রিগেড সভায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে এখনও কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি, তাই সিপিআই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরাও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।