

নয়াদিল্লি : জরুরী ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে করোনার ভ্যাকসিন। আগামি ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাকরণ যাতে নির্বিঘ্নে শুরু করা যায় তাই নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতা তুঙ্গে। প্রথম দফায় তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারি সূত্রের খবর, দৈনিক ১৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে ভারতে। কিন্তু তার আগে YouGov সংস্থার এক সার্ভের ফলাফল চিন্তায় ফেলল সরকারকে। সার্ভের রিপোর্ট বলছে, দেশের এক বৃহৎ অংশের মানুষের ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে সুনিশ্চিত নয়।
প্রসঙ্গত দেশে দুটি টিকা অনুমোদনের পর থেকেই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফলের আগেই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারত বায়োটেক তাদের ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেই দাবি করেছে।
YouGov সংস্থার সার্ভে বলছে, দেশের প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে ইচ্ছুক নয়। এমনকি প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে প্রস্তুত হলেও এর একটা বড়ো অংশ ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত। আবার তাদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ মানুষ অবশ্য ভ্যাকসিন হাতে পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা নিতে চাইছে।
প্রায় ৪১ শতাংশ মানুষ চাইছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে কয়েকমাস অপেক্ষা করতে। ১৩ শতাংশ মানুষ স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীই নন, তবে সরকার বাধ্যতামূলক করলে নিতে রাজি আছেন। ১১ শতাংশ মানুষ বলছেন, একমাত্র কর্মস্থল থেকে ভ্যাকসিন নেওয়াটা বাধ্যতামূলক করলেই তারা টিকাকরণে অংশ নেবেন। আবার ৫৫ শতাংশ মানুষের কাছে বিদেশী ভ্যাকসিনের থেকে দেশীয় ভ্যাকসিন বেশি নির্ভরযোগ্য। তাঁরা ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনেই বেশি স্বচ্ছন্দ।
ভ্যাকসিনের খরচ বহন করা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই মনে করছেন, সরকারের বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন বিলি করা উচিত। ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, অন্তত গরিব মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিতরণ করা উচিত। ১৪ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করছেন, প্রত্যেকের উচিত নিজের টিকাকরণের খরচ বহন করা।