

আহমেদাবাদ: ১৬ জানুয়ারি ভারত করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐতিহাসিক পদেক্ষপ করতে চলেছে। কারণ এই দিন থেকেই দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হবে। এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কাটরামন রাধাকৃষ্ণন (ভেঙ্কি) বলেছেন যে কিন্তু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া ভরসাযোগ্য নয়।
আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠান শেষের পর সম্প্রতি নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী একটি ইংরেজি সংবাদবাদ্যমকে বলেছেন, “একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বলতে পারি, যে টিকার ট্রায়ালই সম্পূর্ণ হয়নি, তার তথ্য জানান দরকার রয়েছে বই কি! এই বিষয়ে অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি।” তাঁর মতে তিনি বলেন তাঁর মতে যে কোনও ভ্যাকসিন নেওয়ার আবশ্যিক কর্তব্য এটাই যে আগে ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে নেওয়া। আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে এটা প্রকাশ করা প্রয়োজন যে করোনার টিকা নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এবং ভ্যাকসিন নিয়ে যাবতীয় তথ্য সকলকে জানানো প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ভেঙ্কাটরামন রাধাকৃষ্ণন রাইবোজোমের গঠন নিয়ে গবেষণা করে বায়োলজিতে নোবেল পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানী দেশের উপর করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, কয়েদিন আগেই ডিজিসিআই সম্মতি দিয়েছে ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইন্সিটিউটের তৈরি কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে প্রয়োগের ক্ষেত্রে। জানানো হয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে সংরক্ষণ করা যাবে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদ বলেই জানিয়েছিলেন ডিসিজিআই। এই দুটি ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ নিরাপদ এবং এই টিকার প্রয়োগে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না বলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।