

নয়াদিল্লি: নাবালিকার শরীর আর জনৈকের হাতের মাঝে রয়েছে পোশাক। যেহেতু শীরের সাথে হাতের সরাসরি কোনো সংস্পর্শ নেই তাই তা যৌন নিগ্রহ বলে বিবেচিত হবে না। সহজ কথায়, পোশাকের উপর নিয়ে নাবালিকার স্তনে হাত অপরাধ নয়। একমাত্র ইহা তখনই অপরাধ বলে গণ্য হবে যখন নাবালিকার গোপানাঙ্গ স্পর্শ হবে। মাঝে বাধ সাধবে না নাবালিকার পোশাক। এই অপরাধ ‘দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (পকসো) আইনের আওতায় পড়বে না। এক মামলায় এমনই রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট। রায় দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্প গান্ডিওয়ালা। এই রায় নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছ দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে নাবালিকাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
বিচারপতি জানিয়েছেন, ত্বকের সাথে সরাসরি সংস্পর্শ না হলে তা যৌন নির্যাতন নয়। একমাত্র পোশাক খুললে বা পোশাকের ভেতর দিয়ে আপত্তিজনকভাবে হাত দিলে তবেই সেটা যৌন নির্যাতন। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি আরও বলেছেন, যৌন নির্যাতন হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার জন্য পেনিট্রেশন বা শিশুর শরীরে অঙ্গ প্রবেশ হতেই হবে তা নয়। যে কোনএ ধরনের যৌন স্পর্শই অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এর সঙ্গে যোগ করেন, যৌন স্পর্শ পোশাকের উপর দিয়ে হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সম্প্রতি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১২ বছরের এক নাবালিকার বুকে স্পর্শ করা এবং চাপ দেওয়া সহ তাকে জামা কাপড় খোলার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকার পরিবার। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে আদালত। প্রশ্ন উঠছে এই রায়ের বিরুদ্ধেও। কারণ যদি কেউ নাবালিকার শরীরে আপত্তিজনকভাবে পোশাকের উপর দিয়ে স্পর্শ করেন তাহলে কি তা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে না? এই ধরণের রায় পোশাক না খোলার অজুহাতে অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়া নয়? পকসো আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই অভিযুক্তের সর্বাধিক ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য কারাবন্দী থাকার কথা। কিন্তু ওই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৪২ নম্বর ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।