

নয়াদিল্লি: তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি সীমানা লাগোয়া এলাকায় আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। দশ দফায় কৃষক নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক সত্বেও মেনেনি কোনও রফাসূত্র। এই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ৩২টি কৃষক ইউনিয়নের প্রধানরা অনশনে বসেন। সেই সঙ্গে আগেই কৃষকরা জানিয়েছিলেন আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির কোথা জানিয়েছিলও। সেই র্যালি ঘিরেই শুরু হয়েছে দিল্লিতে অশান্তি। বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দিল্লির সিংঘু সীমানায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার।
কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী মিছিলে দিল্লির চারদিকে আউটার রিং রোড ঘিরে অংশ নিচ্ছে ২ লক্ষ ট্রাকটর। দিল্লি পুলিশ সাধারণতন্ত্র দিবসে ৫০০০ ট্রাকটর র্যালি জন্য অনুমতি দিলেও সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার কারণে পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে মোদী সরকারকে এই দাবি নিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সংসদ ভবন অভিযান শুরু হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকরা।
শুধু দিল্লিতে নয় আজ সারা ভারত জুড়ে হবে কৃষক আন্দোলন। এমনিতেই আজ আজ ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস সেই দিনেই কৃষকদের এই ট্রাকটর র্যালি কার্যত চাপে ফেলেছে কেন্দ্রকে। এখন প্রশ্ন উঠছে দিল্লি পুলিশের অনুমতি স্বত্বেও কি কারণে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর লাঠি চার্জ কড়া হল ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হল। অন্যদিকে পাকিস্তান মুখিয়ে রয়েছে এই কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে । এই ঘটনার প্রমাণও মিলেছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার দীপক পাঠক বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য বহু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কৃষকরা যেন সতর্ক থাকেন।’ সব মিলিয়ে দিনে দিনে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের।