

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের প্রণয়ন করা কৃষি আইন নিয়েই এখন উত্তাল হয়ে রয়েছে দিল্লি সহ গোটা দেশ। প্রজাতান্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ৩৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। শনিবার এমনটাই জানানো হয় দিল্লী পুলিশের তরফ থেকে। ওই দিনের ঘটনার পর পরই দিল্লি পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল – “দোষীদের রেয়াত করা হবে না।” সেই সূত্রেই কড়াকড়ি ভাবে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশে। এবার কৃষকদের রুখতে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে বোল্ডার, ব্যারিকেড তৈরি করে এবং রাস্তায় পেরেক পুঁতে দিয়েছে পুলিশ। কারণ একটাই যেকোনোও প্রকারে কৃষক আন্দোলন আটকানো।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলও বাড়ানো হয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভ চলতে থাকা এলাকাগুলিতে। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরী ও গাজিপুর সীমানায় পুলিশ কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছে। সীমান্ত ঘিরে দেওয়া হয়েছে প্রচুর ব্যরিগেট ও কাঁটাতাঁর দিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের ১১ দফা বৈঠক হয়েছে তবে তাতে মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। কৃষকরা জানিয়েছেন এই আইন প্রত্যাহার করা না হলে তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টে অবধি কৃষকেরা রাস্তা অবরোধ করবেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছেন, “দেওয়াল না বানিয়ে সেতু বানাক কেন্দ্র।”
GOI,
Build bridges, not walls! pic.twitter.com/C7gXKsUJAi
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 2, 2021
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে থেকেই ১৪ টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রখেছে হরিয়ানা সরকার। পরে আরও তিন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় সেই রাজ্যের সরকার। হরিয়ানায় মোট ১৭টি এই মুহূর্তে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল সেরাজ্যে। এত কিছু করা স্বত্বেও কৃষকদের দমাতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র যাই করুন না কেন কৃষি আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা না হলে কৃষকরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকবে বলেই জানিয়েছেন।