

নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আমেরিকার পপ তারকা রিহানা, পরিবেশবীদ গ্রেটা থুর্নবার্গ, পর্ণ স্টার মিয়া খালিফার একটি টুইট নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। তাদের এক লাইনের একটি টুইট নাকি দেশের ‘অখণ্ডতা’ ও দেশের ‘একতা’ ভাঙার জন্য যথেষ্ট। সেই নিয়ে দেশীয় সেলিব্রেটি ও বিদেশী সেলিব্রেটিদের মধ্যে জোর তরজা শুরু হয়েছে। কৃষক আন্দোলন নিতান্তই দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। আর এই সমস্যায় রিহানা কিংবা গ্রেটার মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বলিউড স্টার থেকে ক্রিকেটার সকলে। তাদের একযোগে সকলে বাইরের শক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছে। রীতিমত যুদ্ধ শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিদেশী তারকাদের উদ্দ্যেশ্য বিবৃতি জারি করেছে বিদেশমন্ত্রক।
এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিদেশি তারকাদের এভাবেই একহাত নিলেন। বুধবার টুইটে অমিত শাহের সাফ কথা, প্রোপাগান্ডা করে ভারতের একতাকে ভাঙা যাবে না। দেশ তার নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিজে সমাধান করতে জানে। এর জন্য বাইরের কারোর হস্তক্ষেপ বা মন্তব্যের প্রয়োজন নেই। বিদেশি শক্তি যে কোনওভাবেই দেশের এই একতা ভাঙতে পারবে না, তাই স্পষ্ট করে দেন তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন, “কোনও প্রোপাগান্ডাই ভারতের একতাকে নষ্ট করতে পারবে না। ভারতকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো থেকে আটকানোর ক্ষমতা কোনও অপপ্রচারের নেই। প্রোপাগান্ডা করে ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এটা শুধুমাত্র উন্নয়নের মাধ্যমেই হবে। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ভারত সর্বদা ঐক্যবদ্ধই থাকবে।”
বিদেশি সেলিব্রিটিদের টুইট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে উঠলে কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে বিদেশিদের ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মাথা না ঘামাতে বলা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিটিও নিজের টুইটের সঙ্গে জুড়ে দেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য, এর আগে কৃষকদের সমর্থনে বার্তা দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। সেই সময়ও ভারতের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছিল। এবার হলিউড তারকার টুইটের পরই দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।