

কলকাতা : বিপদের কালো ছায়া কিছুতেই কাটছে না হিমালয়ের পাদদেশ উত্তরাখণ্ডের উপর দিয়ে। আট বছর আগে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। শিহরিত হয়েছিল গোটা দুনিয়া। ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরাখণ্ডের মাথায়। তার সঙ্গে হিমবাহ ভেঙে ‘ফ্লাশ ফ্লাড’। যা নিয়ে সতর্ক করছে পরিবেশবীদরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক লক্ষ্মী শিবরামকৃষ্ণন জানিয়েছেন, “নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আটকে জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেওয়াতেই গন্ডগোল। উত্তরাখণ্ড জুড়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। পিপল কোটি হাইড্রো প্রোজেক্ট, বিষ্ণুপ্রয়াগ প্রোজেক্ট, ঋষি গঙ্গা পাওয়ার প্রোজেক্ট। উত্তরাখণ্ডের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে এই প্রকল্পগুলি। যার ফলে ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের শীতকাল। বছর পনেরো আগেও উত্তরাখণ্ডে শীতের তাপমাত্রা থাকত মাইনাস ৬ থেকে মাইনাস ১০ এর কাছাকাছি। এখন মেরেকেট তা হিমাঙ্কের দু’ডিগ্রি নিচে নামে। এমন আবহাওয়াতেই গলতে শুরু করেছে হিমবাহ? যার জন্য ধরে রাখা পারছে না ভারি বরফের চাঁই।”
মেঘভাঙা বৃষ্টি না স্রেফ হিমবাহ গলে পরার কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দেড়শো প্রাণ? উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব কলকাতাতেও পরতে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফির অধ্যাপক সুগত হাজরা জানিয়েছেন, “মেঘভাঙা বৃষ্টি এখন আর স্রেফ শোনা কথা নয়। কেউ ভাবতে পেরেছিল? শীতের এই সময় নন্দাদেবী হিমবাহের একটা অংশ ভেঙে পরবে ধউলি গঙ্গায়। বর্ষাকালে এমনটা হয়। মেঘভাঙা এই বৃষ্টি তিলোত্তমার মানুষও চাক্ষুষ করতে পারে।” ডা. হাজরার কথায়, সমতল হওয়ায় এখানে প্রাণহানি হবে না। তবে জলের তলায় চলে যাবে শহরের নিচু এলাকা।