

নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং রবিবার বলেছেন যে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ দিল্লিতে একটি বড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছে। জাতীয় সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার (এনএসএ) অজিত দোভালের অফিসে রেইকি ভিডিও তৈরি করা একজব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর এটি দ্বিতীয় চাঞ্চল্যকর উদ্ঘাটন। ডিজিপি বলেছেন যে, কাশ্মীরে কর্মরত জঙ্গিরা বিহার থেকে অস্ত্র কিনছে। এ জন্য তারা পাঞ্জাবে অধ্যয়নরত কিছু কাশ্মীরি শিক্ষার্থীকে উপত্যকায় এই অবৈধ অস্ত্র আনতে ব্যবহার করছিল।
স্ব-স্টাইল্ড কমান্ডার হিদায়াতুল্লাহ মালিক এবং জহুর আহমেদ রায়েরের গ্রেফতারের পরে সিং এই তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। মালিক লস্কর-ই-মোস্তফার সদস্য এবং জহুর দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্টের সদস্য। মালিককে অনন্তনাগ পুলিশ জম্মুর কুঞ্জওয়ানি এবং রাথার সাম্বা জেলার বারী ব্রাহ্মণা অঞ্চল থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ প্রধান জানান, এই দুটি সংগঠন হল পাক ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী সংগঠন। গত বছরের নভেম্বর মাসে মালিক একটি ব্যাঙ্ক ভ্যান থেকে ৬০ লাখ টাকা লুটের সঙ্গেও জড়িত ছিল। তাঁর স্ত্রী সহ চারজনকে গ্রেফতারের পর এই বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
বিষয়টি হল মালিক পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং কাশ্মীরে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এই নেটওয়ার্কে এখনও পর্যন্ত আটজন সন্ত্রাসী চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মালিক এখনও পর্যন্ত বিহার থেকে সাতটি পিস্তল অর্ডার করেছে যা সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরেও পাকিস্তান থেকে টানেল বা ড্রোন দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করছিলেন। মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, সে জইশ কমান্ডার আশিক নেংগ্রুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। কিছুদিন আগে তার পরিবার সহ পাকিস্তানে পালাতে সক্ষম হন।