

নয়াদিল্লি: ভারত মহাসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিল ভারতের নৌবাহিনী। ভারত এবং আমেরিকার ২ দিনের যৌথ নৌ-মহড়া। ছোটখাট মহড়া নয়, মার্কিন পরমাণু শক্তিবাহী, বিমানবাহী নিমিৎজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের চারটি যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে ভারতের চার যুদ্ধজাহাজ এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী দু’লাইনের টুইট বার্তায় এই মহড়াকে নিছক ‘প্যাসেজ মহড়া’ বা যাতায়াতের পথে মহড়া বললেও মার্কিন সপ্তম নৌবহরের বিবৃতিতে একে ‘উচ্চপর্যায়ের’ মহড়া বলেই জানানো হয়েছে।ভারত মহাসাগর যেখানে চিন তাদের উপস্থিতি বোঝাতে বার বার সক্রিয়, সেখানে বার বার আমেরিকার সঙ্গে ভারতের যৌথ মহড়া চাপে রাখছে চিনকে।
চিনের তরফে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও নভেম্বরে ‘কোয়াড’-এর নৌ-মহড়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। যদিও তাকে বিশেষ পাত্তা দেয়নি কোয়াড (ভারত-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-জাপান)। বিশেষ করে লাদাখে ভারত-চীন সামরিক সংঘাতের পরপরই মার্কিন-প্রস্তাবিত ভারত মহাসাগরীয়-প্রশান্ত মহাসাগরে চার দেশের নৌবাহিনীর এই মহড়াকে এই অঞ্চলের জলপথে সামরিক বিন্যাসে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিমিৎজ এসেছে মালাক্কা প্রণালী দিয়ে। এই প্রণালীকে ঘিরে ফেলার রণনীতি নিয়েই এগচ্ছে আমেরিকা।
এই প্রণালী দিয়ে চীনের পেট্রোলিয়াম পণ্যের অধিকাংশ যাতায়াত করে। এটি অন্যতম বাণিজ্যপথ। একইভাবে ইউএসএস রোনাল্ড রেগানও দক্ষিণ চীন সাগর থেকে এসে ফিলিপাইন্স সাগরে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়া করছে। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, ‘সব মাত্রার যুদ্ধ করার পরিবেশের’ যৌথ মহড়াই চালানো হচ্ছে। মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের ভারত সফরের এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নৌ-মহড়া শুরু হল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা হবে। বিশেষ করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের চোখরাঙানি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।