

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের মাষ্টারস্ট্রোকের মধ্যে একটি হল ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা যেমন তৃণমূল সমর্থকরা নিয়েছেন তেমনি বিজেপি বা অন্যান্য বিরোধী সমর্থরাও রাজ্য সরকার দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়েছেন। এমনকি মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবারও করিয়েছে। সেই নিয়ে চর্চা হয়েছে বহু। সুযোগ পেলে আমিও করব স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এবার দিলীপ ঘোষের গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
সেই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘আমি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের বিরোধিতা করছি না। আমি সরকারের প্রতারণার বিরোধিতা করছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার সুযোগ পেলে আমিও করব।’’ এই মন্তব্যের পরেই তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, “কার্ড পেলেন অথচ সুযোগ পেলেন না, তাহলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড মাথায় নিয়ে শুয়ে থাকলে কি জ্বর কমবে?” যেখানে মমতার মূল বিরোধী দল বিজেপি এবং যে দল রাজ্য সরকারের কড়া কাজের বিরোধিতা করে চলেছে প্রতি মুহূর্তে সেখানে দিলীপ ঘোষের মত একজন বিজেপি নেতার বাড়ির মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের লাইনে দাঁড়িয়ে সুবিধা নিতে দেখা যাওয়াকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠেছিল নানান কথা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির সাংসদের পরিবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে থাকে। দিলীপ ঘোষের ভাই হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি এবং খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। সম্প্রতি কুলিয়ানা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলার লাইনে দেখা যায় হীরক ঘোষের স্ত্রী-সহ পরিবারের কিছু সদস্যকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে বিজেপি বারবার বিরোধিতা করলেও দিলীপ ঘোষের ভাই বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের লাইনে ভিড় করেছিল সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষত প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। তবে
এই বিষয়ে অবশ্য হীরক ঘোষ জানান, তিনি গ্রামে ছিলেন না তাই তাঁর পরিবারের সদস্যরা কবে গিয়েছিলেন তা তাঁর জানা ছিল না। অন্য দিকে এই বিষয়ে এখনও সুকেশ ঘোষ কিছু বলেননি।