

কলকাতা: দোরগোড়ায় একুশের নির্বাচন। হাতে বাকি ঠিক এক সপ্তাহ। জোরদার প্রচার শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে জোর ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। একুশের নির্বাচনের আগে তাই শাসকদলের মাথাব্যাথার কারণ জঙ্গলমহলে মনোনিবেশ করেছে তৃণমূল। আর সে কারণেই শুক্রবার জঙ্গলমহলে জনসভা করেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি ফের একবার বহিরাগত ইস্যুতে বিজপিকে কটাক্ষ করলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলায় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা আসছেন সভা করতে। চ্যালেঞ্জ করছি ২ মিনিট বাংলায় কথা বলে দেখান। আমি ১ ঘণ্টায় ইংরেজি কথা বলব। আপনি বলবে অসম যাব, হরিয়ানা যাব, দিল্লি যাব, মধ্যপ্রদেশ যাব। যে প্রান্তে দাঁড় করিয়ে হিন্দি বলাবেন, আমি কাগজ ছাড়া বলব। আপনারা অভিজ্ঞ নেতা বাংলায় ২ মিনিট বলতে পারবেন না! কোনও কাগজ ছাড়া ২ মিনিট বলতে হবে। সোনার বাংলা বলতে পারছে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিণ্ডি চটকে দিয়েছে। কবিগুরু আমাদের মাঝে থাকলে লজ্জায় মাথা লুকানোর জায়গা পেত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। বহিরাগতদের বিতাড়নের লড়াই করতে হবে।’
বহিরাগত বিজেপি নেতারা বলছেন সোনার বাংলা গড়বে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, আসাম, ত্রিপুরা ইত্যাদি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সোনার হল না কেন? প্রশ্ন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একমাত্র সোনার বাংলা গড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিনি তিনিই তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসবেন। ক্ষমতায় এসে বিজেপির মতো ৬ হাজার টাকা নয় আগামী দিনে কৃষকদের জন্য একর প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ক্রেডিট কার্ড দেবে। গ্রাম এবং শহরের মানুষদের আর রেশন দোকানে যেতে হবে না, সরকার দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবে। রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজেপি বলেছিল চাকরি দেব, কিন্তু তারা দেয়নি। রাজ্যের মানুষ এবারের ভোটে বিজেপিকে গোল্লা দেবেন।’
উন্নয়ন প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, মোদী বাবুর রিপোর্ট কার্ড কোথায়। উনি বলছেন খেলা নয়, উন্নয়ন হবে? বিজেপির উন্নয়ন গনহত্যা, বেকারত্ব। একদিকে উন্নয়ন একদিকে অশান্তি। একদিকে বহিরাগত।একদিকে বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। আপনারা কোনটা চান সেটা ভেবে দেখবেন। তাঁর মতে, বিজেপির কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না মে মাসের পর থেকে। ২০১৯ সালে জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রাম আর পুরুলিয়ার মতো জায়গায় মানুষকে ভুল বুঝিয়েই যে গত লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য এসেছিল গেরুয়া শিবিরে, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঘাসফুল নেতা।