

কলকাতাঃ শনিবার ২৭শে মার্চ থেকে রাজ্যে শুরু বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় ৩০টি কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহন। নির্বাচনে হিংসা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কমিশন। প্রথম দফার ভোটের আগেই রাজ্যের সীমানায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওানরা।
কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বাংলার সীমানাগুলিতে। চেক পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। নির্বাচনের মুখে রাজ্যে টাকা, অস্ত্র, মদ ঢোকানোর চেষ্টা করে থাকে দুষ্কৃতীরা। মূলত রাজ্যের সীমানা এলাকা গুলি দিয়েই তা ঢোকানো হয়। সেই পথেই এবার কড়া নজর প্রশাসনের।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তৎপর কমিশন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজি এবং পাঁচ জেলার ডিএম ও এসপি-দের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে যথোপযুক্ত দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দিয়েছেন অরোরা। জানা গিয়েছে, স্পর্শকাতর ও অতিস্পর্শকাতর বুথগুলিতে অশান্তি রুখতে ৫০% বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সিসিটিভির মাধ্যমেও নজর রাখা হবে বুথগুলিতে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার একাধিক প্রান্তে হিংসা, অশান্তির খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। যার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তারপর থেকেই একুশের বিধানসভা ভোট নিয়ে বাড়তি তৎপরতা নেয় কমিশন। ভোটের বহু আগে থেকে রাজ্যে বারবার এসে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে যায় নির্বাচন কমিশন। বাংলার ভোট শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ পর্যবেক্ষক, বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁরাও গত সপ্তাহখানেক ধরে দফায় দফায় বাংলায় এসে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে।