

কলকাতা : সবে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন লাল-হলুদ শিবিরের হয়ে, কিন্তু ইতিমধ্যেই সমর্থকদের নয়নের মণি ও ভরসার মানুষ হয়ে উঠেছেন নাইজেরীয় ফরোয়ার্ড ব্রাইট এনোবাখারে। ইতিমধ্যেই স্পোর্টিং ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট আগ্রহী ২২ বছরের এই তরুণ ফরোয়ার্ডের সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সারতে। এই বিষয়ে কোচ রবি ফাউলার ও সহকারী কোচ টনি গ্রান্টকে দিয়ে কথা বলানো হচ্ছে ব্রাইটের সাথে।
আর এবার লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য এল আশাব্যঞ্জক খবর। ইতিমধ্যেই ব্রাইটকে তিন বছরের জন্য চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ইনভেস্টরের পক্ষ থেকে। এবং যেটি আরও বড় সুখের কথা, তা হল ব্রাইট এই চুক্তি সই করতে রাজি হয়েছেন। ২০২৩ সালের শেষ অবধি এসসি ইস্টবেঙ্গলেই থাকতে চলেছেন ব্রাইট এনোবাখারে।
কিন্তু এই চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে রয়েছে একটি বড় বাঁধা। ইনভেস্টররা চুক্তিবৃদ্ধির অফার দেওয়ার পর ব্রাইট সেটিকে গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সেই চুক্তি এখনই রেজিস্টার করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না ইনভেস্টররা। জানা গিয়েছে, ক্লাবকর্তারা ফাইনাল এগ্রিমেন্ট সই না করা অবধি এত বড় অর্থের চুক্তি ফাইনাল করতে পিছপা হয়েছে ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট। এর জেরে মৌখিক ভাবে সম্মতি নেওয়া হলেও যতদিন না কর্মকর্তারা ফাইনাল এগ্রিমেন্টে সই না করছেন, ততদিন সেই চুক্তি রেজিস্টার করতে ফেডারেশনে পাঠাবে না শ্রী সিমেন্ট।
আর এর জেরে আরও একটি সুযোগ পেল ক্লাবকর্তাদের এগ্রিমেন্ট সই করাতে বাধ্য করতে। ব্রাইট এনোবাখারেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ক্লাবে রাখতে চাইছেন সমর্থকরা। এবার যদি কর্তারা নিজেদের গোয়ার্তুমিতে এই এগ্রিমেন্ট সই না করেন, তাহলে সমর্থকরা ছেড়ে কথা বলবেন না সে নিয়ে নিশ্চিত ইনভেস্টর পক্ষ। ফলে এই ইস্যু বেশ সুযোগ গড়ে দিল ইনভেস্টরের কাছে।
এদিকে ব্রাইটের এই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে রয়েছে একটি বড় শর্ত। তা হল, এই চুক্তির মেয়াদকালে যদি কোনও বিদেশী ক্লাবের অফার আসে, এবং সেই অফার যদি পছন্দ হয় ব্রাইটের, তাহলে চুক্তির মাঝপথেই তিনি সেই ক্লাবের হয়ে খেলতে পারবেন। এই বিষয়ে কোনও বাধাদান দিতে পারবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বলা বাহুল্য, এই একই ধরণের চুক্তিগত নিয়ম রয়েছে এটিকে-মোহনবাগানের ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান। কিন্তু একটাই সুবিধা, ভারতে খেললে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়েই খেলবেন ব্রাইট এনোবাখারে।