

পানাজি, গোয়া : গতকাল ফতোরদা স্টেডিয়ামকে সকলকে অবাক করে লিগের অন্যতম ধারাবাহিক দল এটিকে-মোহনবাগানকে হারাল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ৬০ মিনিটের মাথায় নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন লুইস মাচাদো। কিন্তু তার ১২ মিনিট পর গোল শোধ করেন রয় কৃষ্ণা। আর শেষে ৮১ মিনিটে ফেডেরিকো গালেগোর দুরন্ত কার্ল শটে পরাস্ত হন অরিন্দম ভট্টাচার্য।
আর এই হারের ফলে শীর্ষস্থানে ওঠার লড়াইয়ে বেশ পিছিয়ে গেল এটিকে-মোহনবাগান। আর এর জেরে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত কোচ আন্তোনিও হাবাস। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে যেভাবে ফাউল হওয়া সত্ত্বেও রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন, তাতে ম্যাচ চলাকালীনই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। আর এই নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাতকারেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রথম গোল করার সময় মাচাদো পিছন থেকে কার্যত ধাক্কা মেরে ফেলে দেন তিরিকে। সেখানে লাইন্সল্যান পতাকা তুলে ফাউলের নির্দেশ দিলেও রেফারি খেলা চালিয়ে যেতে বলেন। আর এর জেরে আগুয়ান অরিন্দমের পাশ দিয়ে গোল করে নর্থইস্টকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মাচাদো। এই নিয়ে হাবাস বলেছেন, “আমার মনে হয় এই স্কোরের জন্য রেফারি দায়ী। নর্থইস্টের প্রথম গোলটা হয়েছে রেফারির জন্য। আর তারপর ম্যাচের পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে।”
এই নিয়ে হাবাস আরও বলেছেন, “হয়ত আমরা প্রথম ৪৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের থেকে আমরা এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমরা গোল করতে পারিনি। আর তারপর রেফারি তাদের গোল করতে দেয়। গোল হওয়া কখনই সম্ভব নয় যখন লাইন্সম্যান নিজের পতাকা উপরে তুলে রাখবেন। আমি বুঝতে পারছি না এটি কি হল। এই মরশুমে রেফারিদের কাছ থেকে কোনও সহায়তাই পাইনি আমরা। প্রতিপক্ষ এই ম্যাচটি জিতল কারণ প্রথম গোলটি নিয়মবহির্ভূত ছিল।”
যদিও প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছেন হাবাস, পাশাপাশি আত্মসমালোচনাও করেছেন তিনি। এই নিয়ে হাবাস বলেছেন, “দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খুব বেশি সুযোগ পাইনি। আমরা আক্রমণ করেছি কিন্তু গোল হওয়ার কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ অবধি নর্থইস্টের কাছে ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। মাচাদো এবং গ্যালেগো অত্যন্ত ভালো খেলোয়াড়। ওনারা অর্ধেক সুযোগ পেয়েও গোল করেছেন।”