

পানাজি, গোয়া : স্প্যানিশ মায়েস্ত্রো এডু গার্সিয়ার চোটের জেরে রয় কৃষ্ণাকে সাপোর্ট দিতে ময়দানে নেমেছেন ব্রাজিলিয়ান ম্যাজিশিয়ান মার্সেলিনহো। ওড়িশা এফসি থেকে লোনে আসলেও পরের মরশুমে মার্সেলিনহোকে পুরোপুরি সই করানোর সুযোগ রয়েছে এটিকে-মোহনবাগানের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ৩৩ বছরের এই মিডফিল্ডারকে আদৌ রাখা উচিত কিনা, সে নিয়ে এবার বিশেষ পরিকল্পনা নিল এটিকে-মোহনবাগান।
এটিকে-মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিও হাবাস দুটি বিষয়ে অত্যন্ত কড়া। এক হল ধারাবাহিক পারফর্মেন্স, আর দুই হল ফিটনেস। এই দুটি বিষয় নিয়ে প্রচন্ড কড়া ভূমিকা নেন আইএসএল জয়ী এই কোচ। আর এবার মার্সেলিনহো আগামী মরশুমে এটিকে-মোহনবাগানে থাকার যোগ্য হবেন কিনা, তার প্রমাণ এই ব্রাজিলিয়ানকেই দিতে হবে। আর সেই জন্য দুটি বিশেষ টার্গেট রেখেছেন কোচ।
দুটি টার্গেটই তার প্রাধান্যের দুটি বিষয় নিয়ে, ফিটনেস ও পারফর্মেন্স। প্রথম টার্গেটটি হল গোল করা এবং তৈরি করার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখতে হবে মার্সেলিনহোকে। মরশুম শেষ অবধি ১২টি গোলের অবদান রাখতে হবে মার্সেলিনহোকে। অর্থাৎ, গোল ও অ্যাসিস্টের দিক থেকে ১২ বা তার বেশি সংখ্যা করতে হবে মার্সেলিনহোকে। এই মুহুর্তে প্লে অফ ম্যাচ ধরলে এটিকে-মোহনবাগানের সাতটি ম্যাচ রয়েছে, আর ফাইনাল খেললে আটটি। ফলে আট ম্যাচে ১২টি গোলের অবদান রাখতে হবে মার্সেলিনহোকে।
আর দ্বিতীয় হল ফিটনেস নিয়ে। ৩৩ বছরের ফুটবলারের তরফ থেকে চুড়ান্ত ফিটনেস পাওয়াটা খুবই কঠিন। কিন্তু মার্সেলিনহোর তরফ থেকে পুরো ফিটনেস চাইছেন হাবাস। ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, প্রতিটি ম্যাচে যেন ৭৫ মিনিট পুরোদমে খেলার মত পরিস্থিতিতে থাকতে হবে মার্সেলিনহোকে। এছাড়া অনুশীলনেও ফুল এফোর্ট দিতে হবে এই ব্রাজিলিয়ানকে।
সব মিলিয়ে, লোনে আসা এই ফুটবলারকে রাখতে বল কার্যত মার্সেলিনহোর কোর্টেই পাঠিয়ে দিলেন কোচ আন্তোনিও হাবাস লোপেজ।