

নয়াদিল্লি: অবশেষে ভারতবাসীর কাছে আস্তে চলেছে সেই বহু প্রতিক্ষিত দিন। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই ভারতবাসি করোনার সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। প্রান গিয়েছে বহু মানুষের। সময় গড়ালে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা চললেও মানুষের মন থেকে করোনার ভয় যায়নি। তবে এবার ভয় নয় করোনাকে পরাস্ত করার জন্য মোক্ষম অস্ত্র চলে এসেছে ভারতে। শুধু এবার প্রয়োগ করার পালা। ১৬ জানুয়ারি হতে চলেছে সেই ঐতিহাসিক দিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার থেকেই ভারতে করোনার টিকাকরণ শুরু হবে।
নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে লিখেছেন, “১৬ জানুয়ারি ভারত করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐতিহাসিক পদেক্ষপ করতে চলেছে। এ দিন থেকেই দেশ জুড়ে টিকাকরণ শুরু হবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে আমাদের সাহসী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, সাফাই কর্মচারিসহ ফ্রন্টলাইন কর্মীদের।” বলা ভালো যে সোমবার এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ১৬ তম প্রবাসী ভারতীয় দিবসের কনভেনশনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”বিশ্বের সব দেশকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে এসেছে ভারত। এখনও করছে, ভবিষ্যতেও করবে। গোটা দুনিয়া শুধু ভারতের টিকার অপেক্ষায় নেই, ভারত কী ভাবে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি চালায়, তা দেখার জন্যও তাকিয়ে আছে।” প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ যারা মহামারীর বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করেছেন সেই সমস্ত চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন যে এই গোষ্ঠীর জন্য করোনার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
On 16th January, India takes a landmark step forward in fighting COVID-19. Starting that day, India’s nation-wide vaccination drive begins. Priority will be given to our brave doctors, healthcare workers, frontline workers including Safai Karamcharis. https://t.co/P5Arw64wVt
— Narendra Modi (@narendramodi) January 9, 2021
দ্বিতীয় ধাপে ৫০ বছর বয়সী মানুষদের এবং তার পরে ৫০ বছরের কম বয়সী এবং যাদের অসুস্থতা রয়েছে তাঁদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, কয়েদিন আগেই ডিজিসিআই সম্মতি দিয়েছে ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে প্রয়োগের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞ কমিটি শনিবার কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে ব্যবহার সম্পর্কে ছাড়পত্র দেয় ডিসিজিআইকে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে সংরক্ষণ করা যাবে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদ বলেই জানিয়েছিলেন ডিসিজিআই। এই দুটি ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ নিরাপদ এবং এই টিকার প্রয়োগে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সময়ের।