

নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার: প্রথমে ভালবাসা তারপর নিবিড় প্রেম। বিচ্ছেদের দুঃখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া ওঠে — প্রেম আর বিচ্ছেদ নিয়ে কবিগুরুর বিখ্যাত উক্তি। প্রেম ভালোবাসায় নিজের উপলব্ধিতে কবি হয়তো এই বাস্তবতাকে দেখে ছিলেন নিজের চোখের সামনে। কবির সেই অনুভূতিই যেন আরও একবার আছড়ে পড়ল আলিপুরদুয়ারের মাটিতে।
দীর্ঘ সাত বছর ধরে প্রেমের নাটকের যবনিকা পতন হল এক নিমেষে। কিন্তু পিছু হটতে নারাজ প্রেমিক। নিজের প্রেমিকাকে ফিরে পেতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে নিম্নচাপের বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ধর্নায় বসল প্রেমিক। দিন কয়েক আগে এই ঘটনা ঘটে ছিল জলপাইগুড়ির জেলার ধূপগুড়িতে। এবার খোদ আলিপুরদুয়ারের শহরতলির জিতপুর এলাকায়। অভাগা প্রেমিকের নাম ছোটন সিংহ।
প্রেমিক ছোটনের বক্তব্য, গত সাত বছর ধরে স্থানীয় তরুণী অনিন্দিতার সঙ্গে তাঁর নিবিড় প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একেবারে গোড়া থেকে ছেলের ভাবী বউ অনিন্দিতাকে নিজের বৌমা হিসাবে ভাবতে শুরু করে প্রেমিক ছোটনের মা ঝুনু সিং। কিন্তু নিবিড় প্রেমের সম্পর্কে ছাই ঢেলে সম্প্রতি প্রেমিক ছোটনকে ছেড়ে অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে প্রেমিকা অনিন্দিতা। আর সেই থেকেই বিচ্ছেদ শুরু। ধীরে ধীরে প্রেমিক ছোটনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে অনিন্দিতার। কিন্তু প্রেমিকাকে পেতেই হবে। না হলে এক নিমেষে চুরমার হবে ঘর বাঁধার স্বপ্ন।
তাই প্রেমিকাকে ফিরে পেতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলো প্রেমিক। ছোটন সিংহের অভিযোগ দীর্ঘ সাত বছর ধরে সম্পর্ক থাকার পরেও এখন সম্পর্ক রাখতে নারাজ প্রেমিকা অনিন্দিতা। এরপর আমি ধর্নায় বসে বাধ্য হই। তাঁর আরও অভিযোগ, অনিন্দিতা এখন অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই সম্পর্ক গড়তে পরিবারের সদস্যরা অনিন্দিতাকে সাহায্য করেছে।
প্রেমিকের মা ঝুনু সিংহের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন আমার ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অনিন্দিতার। এমনকি দুই পরিবারের মধ্যে অবাধ যাতায়াত ছিল। কিন্ত হটাৎ করে কিছু দিন ধরে আমাদের কারোরও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে না সে। কিন্তু প্রেমিকা অনিন্দিতা অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অবিযোগ অস্বীকার করে জানায় সে একটি বেসরকারি কম্পানিতে কর্মরত। কাজের সূত্রে তার সঙ্গে অনেক যুবকেরই পরিচয় রয়েছে। শুধু বন্ধুত্ব ছাড়া কিছুই নয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জিতপুর এলাকায়।