

কলকাতা: বঙ্গ জয়ের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিততে রণনীতি সাজিয়ে ফেলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দিল্লিতে এই নিয়ে বাংলার বিজেপির নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পর পর কয়েদিন বঙ্গ সফরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জেপি নাড্ডা ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলায় রথযাত্রার সূচনা করবেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসবেন। তারপর তিনি বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করবেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় এসে কোচবিহারে যাবেন শাহ সেখান থেকেই রথযাত্রার সূচনা করবেন তিনি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই এই রথযাত্রাকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ বলেই উল্লেখ করেছেন। উত্তরবঙ্গের বিজেপির এই রথযাত্রা কোচবিহার থেকে শুরু হবে এবং আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ঘুরে মালদহে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বলা ভালো যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবরা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন এবার কোনও প্রত্যাবর্তন নয় বিজেপির হাত ধরে শুধু বাংলায় হবে পরিবর্তন।
বিজেপি সূত্রে খবর, বঙ্গে এসে শাহ ঠাকুরনগরে সভা করবেন। সেখান থেকে মতুয়া সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে কি বলেন তার দিকেই নজর রয়েছে সকলের। শনিবার ঠাকুরনগরে এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে বার্তা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। শুধু বাংলা নয়। দেশবাসী তাকিয়ে ছিল অমিত শাহ সেখান থেকে কি বার্তা দেন তার দিকে। কারণ আইনটি পাশ হয়ে গেলেও এখনও কার্যকর করা হয়নি। তবে দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ফলে বঙ্গ সফর বাতিল করতে হয়েছিলো। কিন্তু সফর বাতিল হতেই সব বিফল হয়। ক্ষোভ দেখান মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা। তাতেই চাপের মুখে রয়েছে বিজেপি। তবে বঙ্গ জয়ের জন্য সব দিক সামলাতে ও বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নির্দেশনা দিতেই এত ঘন ঘন রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্বরা।