

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে বঙ্গের রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। শাসক ও বিরোধী দলে চলছে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই। নতুন বছরের শুরু থেকেই ঘন ঘন রাজ্যে আসছেন বিজপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিভিন্ন জেলায় জেলায় কর্মসূচী করছেন জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে অমিত শাহ এমনকি নরেন্দ্র মোদী পর্যন্তও। এবার বিজেপির নেতৃত্বরা সভা করবেন বীরভূমের তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে। মঙ্গলবারের সেই সভায় থাকার কথা রয়েছে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিজেপির এখন পাখির চোখ বাংলার শাসনভার নিজেদের হাতে নেওয়া। ঠিক এই কারণেই বঙ্গে সভা করতে শুক্রবার আবারও রাজ্যে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ হেলিকপ্টারে তারাপীঠ মন্দিরে পৌঁছে সেখানে পুজো দেবেন নাড্ডা। তারপর ছিলার মাঠে জনসভা করবেন। বলা বাহুল্য, আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। শুরু করেছে রথযাত্রা অর্থাৎ ‘পরিবর্তন যাত্রা’র। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে গিয়ে সেখানেও পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন নাড্ডা।
শনিবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি সাহাপুরের মাঠে বসে ৩৬ জন কৃষকের সঙ্গে কৃষকদের সঙ্গে ‘সহভোজে’ সেরেছেন। খাদ্য তালিকায় ছিল খিচুড়ি, পালং শাক, চাটনি। নাড্ডার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষও। কৃষকদের সঙ্গে একসঙ্গে খেয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “কৃষকের ভালবাসা মিশে আছে খিচুড়িতে।” জানা গিয়েছে, আগামী ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি গোটা জেলায় ৩২৮ কিমি পরিবর্তন যাত্রা করবে বিজেপি। নানুরে সভা করবেন যোগী আদিত্যনাথ। উপস্থিত থাকতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ করেই অনুব্রতের গড়ে কেন বিজেপি সভা করতে চাইছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।