

বীরভূম: ‘ক্ষমতা রক্ষা’ ও ‘ক্ষমতা দখলে’র লড়াইটা এখন চলছে ইঞ্চি ইঞ্চিতে। এক কণা জমি ছাড়তে নারজ শাসক-বিরোধী দল। শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। দেওয়াল লিখনও শুরু হয়েছে রমরমিয়ে। শাসক – বিরোধী দুই শিবিরই ময়দানে পুরোদমে নেমে পড়েছে। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে যা সবথেকে বেশী নজর কেড়েছে সেটা হল দল বদলের হিড়িক। এতদিন তৃণমূল ছেড়ে অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এবার সেই খেলাই উল্টে দিল শাসক দল। বীরভূমের বিজেপির যুব মোর্চার নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বুধবার সিউড়ি বিধানসভার পুরন্দপুরের সিউড়ি-২ ব্লকের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় বীরভূমের বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অনিন্দ্য সিংহের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে অনিন্দ্য সিংহ বলেন,” দলের বর্তমান জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা আমাদেরকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছিল না সাংগঠনিকভাবে। আমরা বাধ্য হয়ে তৃণমূলের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হলাম।” বিজেপির যুব মোর্চার নেতা নন বীরভূম বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক কুন্তল ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এ দিন প্রায় ৪০০ জন বিজেপির কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতেও দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রতর গড়ে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দের কথা নতুন নয়। আর সেটাকেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে শাসক দল। বিজেপির চালেই বিজেপিকে মাত দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বলা ভালো যে মাত্র দু দিন আগেই অনুব্রতর গড়ে সভা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের এই ঘটনা এই ভোট যুদ্ধের আবহে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেরই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।