

দিনহাটাঃ সবে শেষ হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। শুক্রবার থেকেই তৃতীয় ও চতুর্থ দফা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে যেমন শুক্রবার অমিত শাহ শীতলকুচিতে সভা করছেন অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে তিনি বলেন, “২০০ আসন পেতেই হবে। না হলে আবার গদ্দারগুলোকে বিজেপি কিনে নেবে। আগে যেমন গদ্দারদের কতগুলিকে কিনে নিয়েছে ।” স্বভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
দিনহাটার সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘দেশে ২ কোটি বেকারত্ব বেরেছে। সেখানে রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।’ তিনি আরও বলেন, মা, বোনেরা বিনা পয়সায় রেশন, স্বাস্থ্যসাথী , আমি সরকার করতে না পারলে পাবেন না। ২৯১টি কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী। জোড়া ফুলের প্রার্থীদের জেতালে আমার সঙ্গে একটা একটা করে আসন বাড়বে। আমি এক পা নিয়ে আপনাদের কাছে চলে এসেছি। মা, বোনেরা দু’পা নিয়ে আমায় ভোট দেবেন না?”
এদিন বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি নন্দীগ্রামে জিতে বিজেপি-র মুখে চুন-কালী মাখিয়ে দেব।” বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারতে হবে। তাঁকে অন্য কেন্দ্রে দাঁড়াতে হবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটা থেকে পাল্টা বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পাশাপাশি, দিনহাটার সভা থেকে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে কোচবিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাতে গেলে, ভয় পাবেন না। সবাই মিলে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। মা,বোনেরা হাতা , খুন্তি নিয়ে লড়ুন । আমি আপনারদের সঙ্গে আছি। আমি চুড়ি পরে বসে নেই।”
শুধু বিজেপি নয়, নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এমন করে নির্বাচনের তারিখ করেছে যাতে আমরা মিটিং করতে না পারি। ওরা ভেবে ছিল আমি প্রচারে আস্তে পারবো না। আমি কাল নন্দীগ্রামে ছিলাম, আজ দিনহাটায়।” নির্বাচন কমিশন যে বিজেপির কথায় চলছে সেই অভিযোগ ফের একবার তোলেন মমতা। কিন্তু তাঁকে আটকানোর যতই চেষ্টা হোক তিনি যে থামবেন না তাও বুঝিয়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “ইলেকশন কমিশন ভোট পরিচালনা করছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট করছেন। তাঁর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সাহায্য করছে। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসে সব বুঝিয়ে দেব।”